মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরে বেড়ীবাঁধের মাটি খাটার বাহানা দিয়ে জামায়েত নেতা নুরুল হক চেয়াম্যানের নেতৃত্বে প্যারাবন নিধন করে ৬টি চিংড়িঘের নির্মান করেছে। যা দেখলে মনে হয় এ সব রক্ষা করার কেউ নেই।
সম্প্রতি মহেশখালী শাপলাপুর ইউনিয়নের পূর্বপাশে ৩টি প্যাকেজের মাধ্যমে বেড়ীবাঁধ নির্মানের কাজ চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্তবধানে। কিন্তু টিকাদাররা স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হক ও অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নুরুল হক চেয়ারম্যান বেড়ীবাঁধে মাটি ফেলার বাহানা দিয়ে প্যারাবন কেটে ৬টি চিংড়ি প্রকল্প নির্মান করেছে। অপরদিকে এসব প্যারাবন কেটে গাছগুলো নৌকাযোগে বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী হিসেবে পাঁচার করে দিচ্ছে। এ সব নিধনযংজ্ঞ দেখলে মনে হয় বন বিভাগের কেউ নেই। এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেড়িবাঁধে মাটি দেয়ার জন্য প্যারাবন কেটে রিং বাঁধ দিয়েছি মাত্র। বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ হলে আমি নিজেই তা কেটে দেব। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শাপলাপুর উপকূলীয় বিট অফিসার ৬টি ঘের বাবদ চেয়ারম্যান থেকে দফায় দফায় ২লাখের অধিক টাকা নিয়েছে। এমনকি ছালাম নামের এক ডাক্তার জানান, তার দোকানে বসে চেয়ারম্যান থেকে বিট অফিসার কয়েক দফা টাকা নিয়েছে। অভিযুক্ত শাপলাপুর উপকূলীয় বিট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান থেকে কোন টাকা নেননি এবং ঘের নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে তিনি পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: